হ্যাকারের এআই ভয়েস ক্লোনিং বুঝবেন যেভাবে

Spread the love

বাঙালিনিউজ তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

প্রযুক্তির সহায়তায় সাইবার অপরাধীরা বিভিন্নভাবে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। হাতিয় নিচ্ছে কষ্টের উপর্যনের লাখ লাখ টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে ভয়েস ক্লোনিং করা। এটি পুরোনো কনসেপ্ট না হলেও এখন এআই এই কাজ আরও নিখুঁতভাবে করতে সাহায্য করছে এসব প্রতারকদের।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সয়ের ছোয়া এখন সর্বত্র। যে কাজই করুন না কেন এআইয়ের সাহায্যে এখন আরও সহজ ও দ্রুততর হয়ে যায়। আবার ক্ষতিও করছে এই এআইয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো অণ্যের ভয়েস ক্লোনিং করা। অনলাইনে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল হিসেবে তাই প্রতারকেরাও এই ‘ভয়েস ক্লোনিং’ প্রযুক্তির দিকেই হাত বাড়াচ্ছে।

এআই এখন হুবহু যে কারও গলা নকল করে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারে। প্রতারকরা আপনার পরিচিত কারও গলা নকল করে আপনার কাছে টাকা বা পাসওয়ার্ড চাইতে পারে। আপনিও বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে দিলেন। তবে একটু সতর্ক থাকলেই কিন্তু ভয়েস ক্লোনিং কি না তা বুঝতে পারবেন।

তাহলে জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন-

> অপ্রত্যাশিত কল
পরিচিতদের গলা নকল করতে পারলেও সাধারণত ঠিক কখন প্রিয়জন বা বন্ধুরা ফোন করে তা জানতে পারে না প্রতারকরা। তাই আপনি যদি আত্মীয় বা কোনো বন্ধুদের থেকে অপ্রত্যাশিত কল পান তাহলে সাবধান থাকতে হবে। ভুল সময়ে ঘন ঘন ফোন এলেই সজাগ হন। কল রিসিভ করা তো দূর, সেই নম্বর ভুয়া হলে দ্রুত ব্লক করে দিন এবং পুলিশকে জানান।

> জরুরি অনুরোধ
দয়া করে টাকা পাঠাবেন, ইমার্জেন্সি, খুব দরকার- এই ধরনের শব্দ শুনতে পেলে সাবধান। ইমার্জেন্সির নাম করে আপনার উপর চাপ বাড়াতে পারে জালিয়াতেরা। দ্রুত টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে তার পরিচয় যাচাই না করা পর্যন্ত কোনো লেনদেন করা উচিত নয়।

> গলা হুবহু এক হলেও বলার ধরণ আলাদা।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তির আওয়াজ চুরি করে ভয়েস ক্লোনিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সেই ব্যক্তির বলার ধরন জানতে পারে না। এই আওয়াজে রোবোটিক সাউন্ড পেতে পারেন, ভুল উচ্চারণ এবং বলার ধরন আলাদা লাগতে পারে। এমন কিছু হলেই বুঝবেন আপনি বাস্তবে কারও সঙ্গেই কথা বলছেন না। প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই ভয়েস ক্লোনিং করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও দ্রুত সতর্ক হতে হবে।

> টাকা বা ব্যক্তিগত তথ্য চাইবে
অধিকাংশ ক্ষেত্রে এআই ভয়েস ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে টাকা হাতানো এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার সুযোগে থাকে জালিয়াতেরা। এই পরিস্থিতিতে কখনোই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম কার্ড নম্বর, ইউপিআই পিন, ওটিপি এবং পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। কোন বৈধ সংস্থা বা নিকট আত্মীয় কখনই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, এটিএম নম্বর এবং ইউপিআই পিন চাইবে না। সেই নম্বর অবিলম্বে রিপোর্ট করুন এবং ব্লক করে দিন।

সূত্র: এনডিটিভি