ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জন সমর্থন হারিয়েছে: রিজভী

Spread the love

বাঙালিনিউজ ডেস্ক

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জন সমর্থন হারিয়ে এখন দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও কিছু পুলিশ কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে। আজ ১১ জুন মঙ্গলবার  নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এই অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, বিরোধী দল ও ভোটারদের অনুপস্থিতির মধ্যে সাম্প্রতিক উপজেলা নির্বাচনগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। জনগণের অর্থ আত্মসাতের আকাঙ্ক্ষায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদ পাওয়ার জন্য তারা এ সংঘাতে জড়ায়।

বিএনপি নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন জনগণের কাছে পরিত্যক্ত একটি দল। এই দলটি কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এবং যারা সংখ্যালঘুসহ গরিব মানুষের সম্পদ দখল ও অর্থ লুট করে তাদের ওপর নির্ভরশীল।’

রিজভী বলেন, ভোটারবিহীন জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে ‘ডামি’ সরকার ও তার পুতুল নির্বাচন কমিশন লজ্জিত নয়। জনগণ আওয়ামী সরকার ও তাদের নির্বাচন কমিশনকে শতাব্দীর সবচেয়ে নির্লজ্জ সত্তা মনে করে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গত নির্বাচনের মতো একতরফাভাবে ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল কোনো বিরোধী দল ও ভোটার ছাড়াই নিজেদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে একদলীয় উপজেলা নির্বাচন আয়োজন করেছে।

রিজভী বলেন, কোনো বিরোধী দল ও ভোটারের অনুপস্থিতিকে পুঁজি করে ক্ষমতাসীনরা নিজেদেরকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে একদলীয় উপজেলা নির্বাচন করেছে। দেশের অনেক উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা লুটপাট ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের পদ রক্ষার জন্য সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

তিনি বলেন, ‘অর্থ লুটপাটের সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য আওয়ামী ক্যাডাররা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ব্যাপক সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে, যার ফলে নিজ দলের মধ্যেই হতাহত ও গুরুতর আহত হয়।’ বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন এবং হাজার হাজার হামলার শিকার হয়েছেন, যা বাংলাদেশের নির্বাচনি ইতিহাসে এক নজিরবিহীন সহিংসতাকে চিত্রিত করে।

রিজভী বলেন, দেশের অর্থনীতির বিশৃঙ্খল অবস্থার চিত্র তুলে ধরে গণমাধ্যমগুলো অর্থনৈতিক মন্দার খবর প্রতিদিন প্রচার করছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাপকহারে ব্যাংক ঋণখেলাপি, ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন, তীব্র ডলার সংকট, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স হ্রাস, অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষকে চরম সংকটে ফেলছে। সূত্র: ইউএনবি।