বাঙালিনিউজ অনলাইনডেস্ক
বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবার ভারতের রাষ্ট্রীয় মর্যাদাপূর্ণ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পাচ্ছেন। গতকাল ২৫ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস নোটে এ খবর জানিয়েছে। এই প্রেস নোটে এবারের পদ্ম পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
ভারতের চারটি বেসামরিক সম্মাননা পদক রয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদক ভারতরত্ন। এরপর রয়েছে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ বছর ভারত সরকার ১৩২ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পদ্ম সম্মাননার জন্য মনোনীত করেছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন পদ্মবিভূষণ, ১৭ জন পদ্মভূষণ আর ১১০ জন পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন।
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর এসব পদকপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়। সাধারণত মার্চ বা এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে পদকগ্রাপ্তদের হাতে তাদের পদক তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরের ধারার চেয়ারম্যান। তিনি রবীন্দ্র সংগীত নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন। বন্যা সংগীতে অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এটা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।
শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। প্রখ্যাত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, শান্তিদেব ঘোষ, গোরা সর্বাধিকারী, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায়, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ তাঁর শিক্ষক ছিলেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালে বাংলাদেশের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক সন্জীদা খাতুন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীককে পদ্মশ্রী পদক প্রদান করেছিল ভারত সরকার।
তার আগে, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও কূটনীতিক সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ভারত সরকারের ‘পদ্মভূষণ’ সম্মাননা পেয়েছিলেন। আর ‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পেয়েছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক ও সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরী।