বাঙালিনিউজ, রাজনীতিডেস্ক
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, আমরা এরশাদের নিজ হাতে গড়া জাতীয় পার্টিকে শেষ হয়ে যেতে দিতে পারি না। জাতীয় পার্টির মধ্যে কোনো দ্বিধা-বিভক্তি হতে দেব না। তাহলে পল্লিবন্ধুর আত্মা কষ্ট পাবে। আমরা সবাই এরশাদের প্রবর্তিত শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন এবং ইতিবাচক ধারার রাজনীতি করতে চাই। তার নীতি ও আদর্শই আমাদের রাজনীতি। জাতীয় পার্টির পরিচয় দিয়ে সেই আদর্শকে কেউ মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন না। আমি বিশ্বাস করি, যারা এরশাদের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাস করেন, যারা এরশাদকে ভালোবাসেন, তাদের মধ্যে কোনো বিভক্তি নাই। আমরা এক আছি এবং ঐক্যবদ্ধই থাকব।
আজ ১৪ জুলাই ২০২৪, রোজ রোববার বিকেলে. কাকরাইলের ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রায়ত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লিবন্ধু এরশাদ নেতাকর্মীদের কত ভালোবাসতেন এবং কত আদর করতেন। আপনারা কি কেউ তাকে ভুলতে পারবেন? অথচ অনেকে আছেন, যারা জাতীয় পার্টির পরিচয় দিয়েও এরশাদকে মুছে ফেলতে চাইছেন।
সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, দেশে এখন নানাবিধ সমস্যা বিরাজ করছে। ছাত্র-শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। দেশে বেকার সমস্যা বেড়েই চলছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এদিকে দেশে ভয়াবহ বন্যায় মানুষের দুর্গতি বেড়েই যাচ্ছে। দেশের এই পরিস্থিতির মধ্যে পল্লিবন্ধু এরশাদ বেঁচে থাকলে তিনি বসে থাকতে পারতেন না। তিনি বন্যাদুর্গত মানুষের কাছে ছুটে যেতেন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি দেশের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে সরকার আন্তরিক আছে। কিন্তু সমাধানের পদক্ষেপগুলো যথার্থ নয়। ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলন শুরু হতে না হতেই সরকারের উচিৎ ছিল আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা। সরকার সেটা এখনও করতে পারে।
স্মরণসভায় দলটির মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশিদ, আমন্ত্রিত অতিথি জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, বিএলডিপির চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী নাজিমুদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান এম এ মতিন, সাবেক রাষ্ট্রপতির ফটোগ্রাফার ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মো. আবু সালেহ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাহিন আরা সুলতানা রিমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সাহিদুর রহমান টেপা, গোলাম সারোয়ার মিলন, সুনীল শুভরায়, এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, ইয়াহিয়া চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম শফিক, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, হাজী তুহিনুর রহমান নুরু হাজী, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, এম এ কুদ্দুস খান, উপদেষ্টা হাফছা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান হাজী নাসির সরকার, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, মিজানুর রহমান দুলাল, শাহ আলম তালুকদার, যু্গ্ম মহাসচিব ফখরুল আহসান শাহজাদা, শেখ মাসুক রহমান, সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম তরুণ, সুজন দে, এস এম হাশেম, এডভোকেট সেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী, এস এম আল জুবায়ের, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, জাফর ইকবাল নীরব, প্রচার সম্পাদক খোরশেদ আলম খুশু প্রমুখ। সূত্র: অনলাইন নিউজ।