আজ রাতে পর্তুগাল ও ফ্রান্স ম্যাচে লড়বেন রোনালদো-এমবাপ্পে

Spread the love

ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ কোয়ার্টার ফাইনাল

বাঙালিনিউজ, খেলারডেস্ক

আজ ০৫ জুলাই ২০২৪, রোজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় জার্মানির হামবুর্গে ফ্রান্স ও পর্তুগাল ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের কোয়ার্টার ফাইনালে লড়বে। এই ম্যাচের মাধ্যমে আবারো দুই পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি পরীক্ষা করবে। তবে দুই দলের এই লড়াইয়ে মূলত দুই অধিনায়ক সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও কিলিয়ান এমবাপ্পের ওপর বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা নজর রাখবেন।

জার্মানির হামবুর্গে শেষ আটের এই লড়াইয়ে ইউরোপের দুই ফুটবল পাগল জাতি জেতার জন্যই মাঠে নামবে। কিন্তু দুই দলের কোনোটাই এখন পর্যন্ত জার্মানিতে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। ফ্রান্স গত সাতটি বড় টুর্নামেন্টের ছয়টিতে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোনো খেলোয়ারই পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লেতে গোল করতে পারেনি।

চার ম্যাচে তারা মাত্র তিনটি গোল করেছে। এর মধ্যে এমাবাপ্পে একটি করেছে পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি হয়েছে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোল। শেষ ষোলতে ইয়ান ভারটোনগেনের আত্মঘাতী গোলে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স।

অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নাক ভেঙে যাওয়ায় এমবাপ্পে স্বাভাবিক খেলতে পারছেন না। মাস্ক পরে তাকে খেলতে হচ্ছে। কিন্তু মাস্ক পরে খেলা অস্বস্তির। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্স গোলশূন্য ড্র করেছিল। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচটি খেলতে পারেননি এমবাপ্পে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে ফিরে স্পট কিক থেকে এক গোল করেন এমবাপ্পে। এটাই এমবাপ্পের এখনো পর্যন্ত ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে সাত ম্যাচে প্রথম গোল। এ পর্যন্ত চার ম্যাচে ফ্রান্স একটি মাত্র গোল হজম করেছে। সেটাও আবার পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে রবার্ট লিওয়ানদোস্কির গোল ছিল।

অন্যদিকে, স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলতে ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর, শ্যুট আউটে জয়ী হয়ে পর্তুগাল শেষ আটে উঠে এসেছে। গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা স্লোভেনিয়ার তিনটি শট রুখে দিয়ে পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করেন। অতিরিক্ত সময়ে রোনালদো পেনাল্টি মিস করায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে পেনাল্টি শ্যুট আউটের প্রয়োজন হয়। পর্তুগালের খেলায় সবার দৃষ্টি থাকে রোনালদোর ওপর। রোনালদো নিজেও জানেন তার ওপর দল ও ভক্তরা নির্ভর করে। তাই কোচ রবার্তো মার্টিনেজ রোনালদোকে ছাড়া চিন্তা করতে পারেন না।

গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল পর্তুগাল। এরপর তুরস্ককে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ফ্রান্সের তুলনায় পর্তুগাল গোলের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। যদিও জর্জিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছিল পর্তুগিজরা। তবে তার আগেই গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করেছে পর্তুগাল।

তিন বছর আগে, এই দুই দল ইউরোতে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল। পেনাল্টি থেকে রোনালদো জোড়া গোল করলেও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে অমিমাংসিত ছিল। নক আউট পর্বে যখনই এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে, তখনই বিজয়ী দল শিরোপা জিতেছে। প্যারিসে ২০১৬ ইউরো ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে পর্তুগাল জয়ী হয়েছিল। ইউরো ৮৪’তে মিশেল প্লাতিনির অতিরিক্ত সময়ের গোলে সেমিফাইনালে ফ্রান্স জয়ী হয়েছিল। ২০০০ সালের সেমিফাইনালে জিনেদিন জিদানের পেনাল্টিতে গোল্ডেন গোলে ফ্রান্স জয়ী হয়েছিল।

এছাড়াও ঠিক ১৮ বছর আগে মিউনিখে ২০০৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আবারও জিদান ফ্রান্সকে জয় উপহার দিয়েছিলেন। এবারের ইউরোই রোনালদোর শেষ ইউরোপীয়ান আসর হতে যাচ্ছে। সূত্র: অনলাইন নিউজ।