বাঙালিনিউজ, খেলারডেস্ক
আজ ২৭ জুন ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার সকালে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়াইয়ে নামে প্রথম সেমিফাইনালে ওঠা আফগানিস্তান।
ত্রিনিদাদে টসে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানেই অলআউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন আফগানিস্তানের রাহমাতুল্লাহ গুরবাজ-রশিদ খানরা। টি–টোয়েন্টিতে এটাই আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। দক্ষিণ আফ্রিকার মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদা এবং তাবরিজ শামসির তোপের মুখে আফগানিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে যায়।
নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ম্যাচে এসে ব্যাটিংয়ে চরম বিপর্যয়, সমর্থকদের সবচেয়ে বেশি হতাশা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
আফগানিস্তানের ব্যাটারদের একজনও দাঁড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই সর্বোচ্চ ১০ রান করেন। আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
টি–টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানেরও এটি সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে ২০১৪ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল আফগানিস্তান।
আবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও আফগানিস্তানের এই স্কোর সর্বনিম্ন। এর আগে আর কোনো দল ১০০ রানের নিচে অল আউট হয়নি। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
ছেলেদের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে নকআউট ম্যাচে এটাই সর্বনিম্ন রানের দলীয় সংগ্রহ। ২০২৩ সালে আফ্রিকা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনস কাপের সেমিফাইনালে উগান্ডার বিপক্ষে ৬২ রানে অলআউট হয়েছে বতসোয়ানা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন আফগান ব্যাটসম্যানরা। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ড্রেসিং রুমে ফেরেন ৫ আফগান ব্যাটসম্যান। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই আফগানিস্তানের বড় সংগ্রহের লক্ষ্য ধূলিসাৎ হয়ে যায়। ফলে তখনই পরিষ্কার হয়ে যায় আফগানিস্তানের ভবিষ্যত। পরের ছয় ওভারের মধ্যে বাকি ৫ জনও আউট হয়ে যান।
অথচ এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ড ও সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে হারিয়ে রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল আফগানিস্তান।
২০০৪ সালে এসিসি ট্রফিতে প্রথম অফিশিয়াল ম্যাচ খেলার মাত্র ২০ বছরের মধ্যে এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিল আফগানিস্তান। ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আজকে এই সেমিফাইনাল ম্যাচে নামার আগে আফগানদের নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন অনেকে। কিন্তু সেমিফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধে সবাইকে চরমভাবে হতাশ করলো আফগানিস্তান।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মাত্র ১.৫ ওভারে ৬ রানে ৩ উইকেট নেন স্পিনার শামসি। ১৬ রানে ৩ উইকেট ইয়ানসেনের। ২টি করে উইকেট রাবাদা ও নর্কিয়ার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১১.৫ ওভারে ৫৬ (আজমতউল্লাহ ১০, গুলবদিন ৯, রশিদ ৮, করিম ৮, ইব্রাহিম ২, খারোতে ২, নবী ০, গুরবাজ ০; ইয়ানসেন ৩/১৬, শামসি ৩/৬, নর্কিয়া ২/৭, রাবাদা ২/১৪, মহারাজ ০/৬)।