বাঙালিনিউজ, দেশডেস্ক
তিস্তা চুক্তি ও গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে যে চিঠি দিয়েছেন, তা ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ’ ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি যদি নবায়ন না–ও হয়, তবু এ চুক্তি অব্যাহত থাকবে।
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত শনিবার ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য শিগগিরই একটি বিশেষজ্ঞ দল বাংলাদেশে যাবে।
তবে গতকাল ২৪ জুন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তির বিষয়ে নিজের আপত্তির কথা তুলে ধরেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এগুলো দ্বিপক্ষীয় বিষয় নয়, রাজ্যের স্বার্থ জড়িত। সেখানে রাজ্যকে বাদ দিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হলো।
আজ ২৫ জুন মঙ্গলবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মমতার সেই আপত্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে আমরা প্রকল্প নিয়েছি। তিস্তা নদীটাকে ড্রেজিং করা, পানি সংরক্ষণ এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি যদি নবায়ন না-ও হয়, তবু এ চুক্তি অব্যাহত থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন এবং আমরাও সম্মত হয়েছি যে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একটা টেকনিক্যাল গ্রুপ করা হবে।’ গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি হয় ১৯৯৬ সালে। এর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জি যে চিঠি লিখেছেন তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রীকে, এটা তাঁদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমার সঙ্গে ভারতের সব দলের সম্পর্ক ভালো। মমতা ব্যানার্জির সম্পর্ক ভালো আবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কও ভালো। ভারতের দলমত-নির্বিশেষে আমার সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং কাজী জাফরউল্লাহ। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান। সূত্র: প্রথম আলো, বাসস, ইউএনবি, বাংলাদেশ প্রতিদিন।