বাঙালিনিউজ, বিশ্বডেস্ক
স্ত্রী মৃত্যুর শোক নিতে না পেরে, আত্মহত্যা করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটিতে এক হাসপাতালে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তির স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ভুগে মারা যান।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, মৃত পুলিশ কর্মকর্তা শিলাদিতা চেতিয়া আসাম সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন। তিনি ভারতের পুলিশ সার্ভিসের ২০০৯ সালের ব্যাচের আইপিএস (ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) কর্মকর্তা ছিলেন। খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তা শিলাদিতা চেতিয়ার স্ত্রী আইসিউতে মারা যান। সেখানেই নিজের পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী কার্সিনোমার (ক্যান্সার) চতুর্থ পর্যায়ে ছিলেন। বিগত কয়েকদিন যাবত একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা বিগত চারমাস ছুটিতে ছিলেন।
নেমকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক হিতেশ বড়ুয়া বলেন, তার স্ত্রীর ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছিল এবং অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। পুলিশ কর্মকর্তা চেতিয়াকে ঘটনা জানানো হয়। সন্ধ্যায় তার স্ত্রী মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালক বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে পৌঁছান এবং উপস্থিত চিকিৎসকদের কিছুক্ষণের জন্য কক্ষ থেকে সরে যেতে বলেন। স্ত্রীর মরদেহের পাশে তিনি কিছুক্ষণ একা থাকতে চেয়েছিলেন এবং প্রার্থনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আকস্মিক সেখানে গুলির শব্দ শোনা যায় এবং চিকিৎসকরা গিয়ে দেখেন, পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবিদ্ধ। চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি।
চেতিয়া আসামের তিনসুকিয়া ও সোনিতপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি আসাম পুলিশের ৪র্থ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।