বাঙালিনিউজ, বিনোদনডেস্ক
গত ১৭ জুন ২৯২৪ রোজ সোমবার, পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ ছবি। প্রথম দিন থেকেই বহুল আলোচিত এই ছবি দারুণ হিট করেছে। দর্শকের ভিড়ে প্রায় ১৩০টি প্রেক্ষাগৃহ সয়লাব। সারা দেশে ছবিটি নিয়ে দর্শকের সাড়ায় মুগ্ধ প্রেক্ষাগৃহ কৃর্তপক্ষ।
এদিকে, ময়মনসিংয়ের ছায়াবাণী প্রেক্ষাগৃহে ঘটেছে এক ব্যতিক্রম এক ঘটনা, যা গত ২০ বছরে ঘটেনি। গতকাল ১৮ জুন ২০২৪ রোজ মঙ্গলবার রাত ১২টায় ‘তুফান’সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী চালু করতে বাধ্য হয়েছে প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষ। প্রথম আলো জানায়, খবরটি নিশ্চিত করেছেন এই প্রেক্ষাগৃহের বুকিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ব্যবসা যখন রমরমা সময় পার করেছে, তখন এমন খবর হরহামেশাই পাওয়া যেত। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে সারা দেশ থেকে গভীর রাতে সিনেমার প্রদর্শনী হওয়ার মতো কোনো খবর মিলছিল না। গতকাল এমন খবর পাওয়া গেল। এবারের ঈদে ছায়াবাণীসহ আরও ১০টি প্রেক্ষাগৃহে ‘তুফান’ সিনেমার বুকিং হয়েছে কামাল হোসেনের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টার শোতেও দর্শকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এই দুই শোতে অনেক দর্শক ছবিটি দেখতে না পেরে ফিরে গেছেন। আবার অনেক স্থানীয় দর্শক অপেক্ষা করছিলেন, যে করেই হোক ছবিটি তাঁরা দেখবেনই। পুলিশ এনেও লোকজন সরাতে পারিনি। স্থানীয় লোকজনকে কোনোভাবেই সরানো যাচ্ছিল না। তাঁরা দেখবেনই।
এদিকে সারা দিন দর্শকের ভিড় সামাল দিতে আমাদের কর্মচারীরাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই আমরা প্রথমে সিদ্ধান্ত নিইনি যে রাত ১২–৩টা শো চালাব। স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনের অনুরোধে একটা শো দিতে হয়। তাঁদের দেখাই। বাধ্য হয়েছি ১২–৩টা শো চালু করতে।’
জানা গেছে, ছায়াবাণী প্রেক্ষাগৃহের দর্শক ধারণক্ষমতা ৯০০। তবে ঈদের প্রতিদিন তারা এক হাজার দর্শকের দেখার ব্যবস্থা করেছেন বলেও জানান কামাল হোসেন।
বুকিং কর্মকর্তা কামাল বলেন, ‘ঈদের দিন থেকে ছবিটি হাউসফুল যাচ্ছে। সাধারণত দুপুর ১২টা থেকে প্রদর্শনী শুরু হয়। সারা দিন সব মিলিয়ে ৪টা প্রদর্শনী চলে। মর্নিং শোতে লোকজন কম হয়। কোনো ছবি ভালো হলে স্থানীয় লোকজনের চাহিদা বেশি থাকে। সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টার শো সাধারণত শহরের লোকজন দেখেন। দুপুর ১২টা আর বেলা ৩টার শোর দর্শকেরা শহরের বাইরের। এবার ঈদের আগে হলকে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত করেছি, তাই দর্শকেরাও আরাম করে ছবি দেখছেন।
তুফান সিনেমার এত চাহিদা কেন জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, অনেক দিন পর মাসালা টাইপের সিনেমা শাকিব খানের। এমন অ্যাকশন সিনেমায় শাকিবকে আগে দেখা যায়নি। ছবিটিও ভালো। দর্শকের কাছেও মুক্তির আগে থেকেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। প্রচারণাও ভালো ছিল। ছবির নির্মাণটাও ভালো হয়েছে। ‘উরাধুরা’ গানটা বেশি ভাইরাল হয়ে গেছে। সবকিছু বাদ দিলেও, শাকিব খানের তো একটা বিশাল ভক্তকুল আছেই।
তুফান সিনেমায় শাকিব খানকে দ্বৈত চরিত্রে দেখা গেছে। রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ভারতের মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা। আরও আছেন চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, সালাউদ্দিন লাভলু, গাউসুল আলম শাওন প্রমুখ। সূত্র: প্রথম আলো।