বাঙালিনিউজ, দেশডেস্ক
ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৭ জন রোহিঙ্গাসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
গতকাল ১৮ জুন ২০২৪ রোজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে আজ ১৯ জুন বুধবার সকাল পর্যন্ত উখিয়ার ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এই খবর নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. মিজানুর রহমান।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড়ধসের এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।
আরআরআরসি সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ধসের ঘটনায় ৮ নম্বর শিবিরে ২ জন, ৯ নম্বর শিবিরে ২ জন, ১০ নম্বর শিবিরে একই পরিবারের ৪ জন ও ১৪ নম্বর শিবিরে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১০ নম্বর শিবিরের নিহত ব্যক্তিরা হলেন আবু মেহের (২৫), শাহানা (২২), আবুল কালাম (৫০) ও সেলিমা খাতুন (৪৫)। ৯ নম্বর শিবিরে নিহত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ হোসেন (৫০) ও আনোয়ারা বেগম (১৮)।
৮ ও ১৪ নম্বর শিবিরে নিহত ব্যক্তিদের সবার নাম নিশ্চিত করতে পারেননি আরআরআরসি মো. মিজানুর রহমান। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ নম্বর শিবিরে একজন স্থানীয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে বলে জানা গেছে। অপর বাংলাদেশির নাম–পরিচয় জানা যায়নি।
রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক আমির জাফর বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২ জন বাংলাদেশের নাগরিক। অন্য ৭ জন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
এদিকে আজ ১৯ জুন বুধবার ভোরে উখিয়ার ৮ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের চোরা খোলায় পাহাড়ধসে নিহত স্থানীয় শিক্ষার্থীর নাম আবদুল করিম (১২) বলে জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ গফুর উদ্দিন চৌধুরী। নিহত আবদুল করিম উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের থাইংখালীর শাহ আলমের ছেলে। সে থাইংখালী উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তবে আরআরআরসি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। সূত্র: প্রথম আলো।