বাঙালিনিউজ, দেশডেস্ক
ঢাকা থেকে ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক মর্মান্তিক সড়ক দুঘর্টনায় দুই সহোদর ভাই নিহত হয়েছেন। নিহত দুই ভাইয়ের নাম মো. হুমায়ূন খান (৪৫) ও মো. রবিউল খান (৫০)। তাঁরা ঢাকায় জুতার ব্যবসা করতেন। তাদের পরিবার-পরিজন থাকেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে গ্রামের বাড়িতে।
আজ ১৭ জুন ২০২৪ সোমবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত হুমায়ূন খান ও রবিউল খানের বাবার নাম আবদুর রহমান খান। তাঁরা বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানি গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করার জন্য ঢাকা থেকে বাড়িতে যাচ্ছিলেন ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে। মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের (ডিভাইডর) সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজনই মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। হুমায়ূন ঘটনাস্থলেই মারা যান। জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের চালক মনিরুল ইসলাম (৩৫)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ূন ও রবিউল দুই ভাই আজ ভোরে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা হন মনিরুল ইসলামের মোটরসাইকেলে। ঢাকা থেকে তাঁদের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। ৯৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার পর মহাসড়কের আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় সকাল ৭টার দিকে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের (ডিভাইডর) সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজনই মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন।
হুমায়ূন ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয় লোকজন রবিউল ও মনিরুলকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক রবিউলকে মৃত ঘোষণা করেন। মনিরুল সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। স্বজনেরা দুপুরে দুই ভাইয়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশীষ কুমার সান্যাল প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মিডিয়াকে বলেন, মোটরসাইকেলটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। এ ছাড়া এর চালক ছিলেন ক্লান্ত। সম্ভবত আগের রাতে ঘুমাননি। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মোটরসাইকেল আরোহী দুই ভাইয়ের মাথায় হেলমেট ছিল না। মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সড়ক আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সূত্র: প্রথম আলো।