বাঙালিনিউজ, রাজনীতিডেস্ক
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩৯টি পদে রদবদল করা হয়েছে। বিএনপির ঢাকাসহ চারটি মহানগর কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর এই রদবদল করা হলো। অনেকেই বলছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে এবার দলের কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে এই রদবদল আনা হলো।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ২০১৬ সালের পর দলটির আর কাউন্সিল হয়নি। এভাবেই প্রায় আট বছর চলার পর, আজও কাউন্সিল ছাড়াই কমিটির ৩৯টি পদে রদবদল করা হলো। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
আজ ১৫ জুন ২০২৪ শনিবার, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ৩৯ পদে নেতাদের কাউকে কাউকে নতুন যুক্ত করা হয়েছে, আবার কারও কারও পদ পরিবর্তন করা হয়েছে। তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান দলটির গঠনতন্ত্রে রয়েছে। কিন্তু সেই গঠনতন্ত্র মোতাবেক যথা সময়ে কাউন্সিল না করে প্রায় আট বছর পর আজ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে রদবদল আনা হলো।
এই রদবদলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলে ১০ জনকে যুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা এত দিন এই কমিটিতেই বিভিন্ন পদে ছিলেন। এই ১০ জনের মধ্যে জহির উদ্দিন স্বপন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল রয়েছেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ তিনজনকে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে। তাঁরা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ড. আসাদুজ্জামান রিপনকে (সম্পাদক, বিশেষ দায়িত্বে) করা হয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান।
উপদেষ্টা কাউন্সিলে যুক্ত ১০ সদস্য: জহির উদ্দিন স্বপন (সাবেক এমপি), এ এইচ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হারুন অর রশিদ, আসলাম চৌধুরী, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাখাওয়াত হাসান জীবন, বেবী নাজনীন ও খালেদ হোসেন চৌধুরী পাহিন।
সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়েছে আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে।
সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদেও রদবদল করা হয়েছে। এই রদবদলে বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন তারা হলেন, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), আলহাজ জি কে গউছ সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), শরিফুল আলম সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ), সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রচার সম্পাদক, মোর্শেদ হাসান খান গণশিক্ষা সম্পাদক, শামীমুর রহমান শামীম গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক, আমিরুল ইসলাম খান আলীম সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), নজরুল ইসলাম আজাদ সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ), অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ), মীর হেলাল উদ্দিন সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ), আবু ওয়াহাব আকন্দ সহসাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ)।
মিফতাহ সিদ্দিকী সহসাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), নাহিদ খান সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ সহস্বাস্থ্য-বিষয়ক সম্পাদক, এস এম সাইফ আলী সহতথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক।
এছাড়া কজনের দায়িত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, জালাল উদ্দিন মজুমদার, সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সায়েদুল হক সাঈদ, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল ফারুক এবং এস এম গালিব। এই পাঁচজনকে সহসাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়া যাদের নির্বাহী কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে তারা হলেন- কয়সর এম আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু (সুইডেন) সদস্য, গাজী মনির (ডেনমার্ক) সদস্য, রাশেদ ইকবাল খান (সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ছাত্রদল)।