বাঙালিনিউজ, জাতীয়ডেস্ক
বাজার ঊর্ধ্বমুখী, কমছে না কোনো পণ্যমূল্য। সামনে কোরবানির ঈদ, তাই নিত্যপণ্যের দাম আরো বেড়েছে। ডিমের ডজন এখন ১৬০ টাকা। এক মাস আগে ছিল ১২৫ টাকা ডজন।
মাস খানেক আগে পিয়াজের কেজি ছিল ৬০ টাকা। এখন ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। এক মাসেই পিয়াজের কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। এখন আলুর কেজি ৬০ টাকা। এক কেজি মোটা চালের দামের চেয়েও বেশি।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে পিঁয়াজ, আদা, আলু ও কাঁচা মরিচসহ বেশ কিছু পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, ভোক্তারা ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। সাধারণ মানুষ অসহায় অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে আলু বাজেটের আগে ৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পিঁয়াজ গত সপ্তাহে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। আদা কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে মানভেদে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে রসুনের দাম। দেশি রসুন কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও আমদানিকৃত রসুন কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি কেজি ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অস্থির মসলার বাজার। দাম বেড়েছে জিরা, দারুচিনি ও লবঙ্গের। প্রতি কেজি জিরার দাম ৭০-৮০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকা, ১২০ টাকা বেড়ে লবঙ্গ ১ হাজার ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮২০ থেকে ৮৩০ টাকা। এখনো বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে হলুদ, এলাচ। হলুদ কেজিপ্রতি ২৬০, এলাচ ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।