সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দেওয়ার আগে যে সেটিংস করবেন

Spread the love

বাঙালিনিউজ তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

তথ্যপ্রযুক্তি এ যুগে প্রায় সব বয়সীরাই স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন। বাবা-মা সন্তানদের হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন। করোনাকালীন যে অভ্যাসটা করা হয়েছিল, অনলাইনে ক্লাস, গ্রুপ স্টাডি তা এখনো যায়নি।

তাই অবিভাবকগন সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন। আপনার সন্তান শুধু পড়াশোনার কাজেই নয় পাশাপাশি ফোনে হয়তো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্বহার করছে। খেয়াল রাখছেন তো?

তাই আপনার সন্তানের স্মার্টফোন ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। বিশেষ করে তারা কার সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশছে তা খেয়াল রাখুন। স্মার্টফোনের কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করছে তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট স্মার্টফোনের দৌলতে অ্যাক্সেস করা সহজ। তাই বাচ্চার হাতে ফোন দেওয়ার আগে শুধু কয়েকটা সেটিংস অন করে দেওয়া যেতে পারে, যাতে তাদের এ ধরনের জিনিস দেখার সম্ভাবনা না থাকে, অন্তত অভিভাবকদের ফোন থেকে।

  •  এজন্য সবার প্রথমে অ্যান্ড্রয়েডে গুগল প্লে রেসট্রিকশন চালু করতে হবে। এটি বাচ্চাদের এমন অ্যাপ, গেম এবং অন্যান্য ওয়েব রিসোর্স ডাউনলোড করতে বাধা দেবে যা তার বয়সের জন্য উপযুক্ত নয়। এজন্য প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে যেতে হবে। তারপরে বাম কোণে সেটিংসে যেতে হবে। এখানে ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস’ অপশন পাওয়া যাবে।

 

  •  এটিতে ট্যাপ করলে একটি পিন সেট করতে বলা হবে। অভিভাবক এই পিন সেট করে ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস’ সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন৷ একবার পিন সেট হয়ে গেলে, প্রতিটি বিভাগের জন্য স্টোর-ভিত্তিক বয়স সেট করা যাবে। শুধু এই পিনটি বাচ্চাদের বললে চলবে না।

 

  • সোশ্যাল মিডিয়া সেটিংস ইউটিউব এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস’ অপশন রয়েছে। অভিভাবকরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোতে ‘প্যারেন্টাল কন্ট্রোলস’ চালু করেন, তাহলে তারা সহজেই সন্তানের কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারবেন এবং তাদের ভুল জিনিসগুলো দেখা থেকে বিরত রাখতে পারবেন।

 

  • একটি পৃথক ই-মেল আইডিঅনেক সময়, সুবিধার জন্য, অভিভাবকরা সন্তানদের তাদের নিজস্ব ই-মেইল আইডি ব্যবহার করে সব অ্যাপ চালানোর অনুমতি দেন। কিন্তু শিশুদের জন্য একটি ব্যক্তিগত ই-মেইল আইডি তৈরি করা বরং উচিত হবে। এর মাধ্যমে, অভিভাবকরা শুধু সন্তানদের ভুল বিজ্ঞাপন থেকেই দূরে রাখতে পারবেন না, বরং সহজেই সন্তানদের ইন্টারনেট কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে পারবেন।

 

  • ইন্টারনেট নিরাপত্তা টিপসের পাশাপাশি বাচ্চাদের ইন্টারনেট নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করাও অভিভাবকের কর্তব্য। শিশুদের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, সাইবার অপরাধ এবং অনলাইন পেমেন্ট সম্পর্কিত জালিয়াতি সম্পর্কে জানিয়ে রাখলেও অনেকটা কাজ হবে।

 

সূত্র: ইউনিসেফ