৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা ৫১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা

Spread the love

বাঙালিনিউজ, অর্থনীতি ডেস্ক

চলতি বছর ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকারি মালিকানাধীন ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ৫১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।

আজ ২৪ জুন ২০২৪ রোজ সোমবার জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

অর্থমন্ত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন থেকে (বিএডিসি) বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে কম পাওনা ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে, ৭৮ লাখ টাকা।

এছাড়া ব্যাংকগুলোর বড় অঙ্কের পাওনা রয়েছে এমন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চিনিকলগুলো কাছে পাওনা (৭ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা), সার, কেমিক্যাল ও ওষুধ শিল্পের কাছে পাওনা (৭ হাজার ২৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকা), ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে পাওনা ৫ হাজার ১৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশ বিমানের কাছে পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ৪৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

অন্যান্য নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশন-পাবলিক (৬ হাজার ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা), খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে পাওনা (৬৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা), বাংলাদেশ পাটকল ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা (৬০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা), বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের কাছে (৫৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা), বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের কাছে (৫৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির কাছে (২৭৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা), ইক্যুইটি এন্টারপ্রেনারশিপ ফান্ডের কাছে (২৬৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা), অন্যান্য আর্থিক মধ্যস্থতাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে (১৬৫ কোটি টাকা) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাওনা (১৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)।

চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কতিপয় ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং ৭টি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি।

অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত হ্রাস পাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হওয়ায় মানুষ আমানত তুলে বিনিয়োগ করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীনতা বা মূল্যস্ফিতির কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত কমছে না। খবর: বাংলাদেশ প্রতিদিন, ইউএনবি, প্রথম আলো।