বাঙালিনিউজ, বিশ্বডেস্ক
অস্ট্রিয়ার মার্লেন এঙ্গেলহর্ন নামে এক ৩২ বছর বয়সী অ্যাক্টিভিস্ট, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া অর্থের একটি বড় অংশ দান করে দিচ্ছেন। এই অর্থের পরিমাণ ৩১৫ কোটি টাকা। জানা গেছে, মোট ৭৭টি সংগঠনের মধ্যে এই অর্থ ভাগ করে দেওয়া হবে।
কেমিক্যাল কোম্পানি বিএএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা ফ্রিডরিশ এঙ্গেলহর্নের বংশধর মার্লেন। ২০২২ সালে দাদি মারা যাওয়ার পর তিনি অনেক অর্থ পান। গত জানুয়ারি মাসে ওই অর্থের একটি বড় অংশ দান করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মার্লেন। এরপর সেই অর্থ কারা পাবে তা ঠিক করতে ৫০ সদস্যের একটি নাগরিক পরিষদ গঠন করা হয়েছিল। ওই পরিষদ মোট ছয় সপ্তাহান্ত বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠক করার জন্য পরিষদের সদস্যরা আর্থিক সুবিধাও পেয়েছেন। পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তির বয়স ১৭ বছর। তিনি একজন শিক্ষার্থী। আর সবচেয়ে বেশি বয়সী সদস্যের বয়স ৮৫ বছর।
গতকাল ১৮ জুন ২০২৪ রোজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ৭৭টি সংগঠনের নাম জানায় নাগরিক পরিষদ। এর মধ্যে পরিবেশ, শিক্ষা, ইন্টিগ্রেশন, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য, সাশ্রয়ী আবাসন ও সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কাজ করা সংগঠন রয়েছে।
মার্লেন এঙ্গেলহর্ন অস্ট্রিয়ার কয়েকজন মিলিওনেয়ারের একজন, যারা চায় সরকার তাদের ওপর বেশি করে কর নির্ধারণ করুক যেন ধনী ও গরিবের মধ্যে সম্পদের ব্যবধান কমে আসে।
দাতব্য সংস্থা অক্সফাম গত জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, বিশ্বের বিলিওনেয়ারদের সম্পদ ২০২০ সালে যা ছিল তার চেয়ে ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে। আর এই সময়ে ৫০০ কোটির বেশি মানুষ আগের চেয়ে দরিদ্র হয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে, এএফপি, বাংলাদেশ প্রতিদিন।