বাঙালিনিউজ, দেশডেস্ক
এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পর, নিজে দুধ দিয়ে গোসল করে পাপমুক্ত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার পর দুধ দিয়ে গোসল করা ওই ব্যক্তির নাম সেকেন্দার আলী। তিনি পেশায় একজন ট্রাক্টর চালক। সেকেন্দার আলী নেহালপুর গ্রামের দরগাপাড়ার বাসিন্দা।
স্থানীয় জনগণের বক্তব্য, সেকেন্দার আলীর খালাতো ভাই মাজেদুল ইসলামের সঙ্গে তার স্ত্রী সাগরী খাতুন অনেক দিন ধরে পরকীয়া করে আসছিলেন। স্বামী সেকেন্দার আলী বিষয়টি জানার পর, স্ত্রী ও তার প্রেমিককে একসঙ্গে ধরার জন্য ফন্দি আঁটেন। গত ৩ জুলাই বুধবার ২০২৪ সন্ধ্যায় ওঁত পেতে থাকেন সেকেন্দার। এক পর্যায়ে তাদের অবৈধ সম্পর্ক তিনি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ঘটনার পর মাজেদুল পালিয়ে যান।
পরে সেকেন্দার আলী গ্রামবাসীর সহযোগিতায় নিজ স্ত্রী সাগরী খাতুনের সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমিক মাজেদুল ইসলামের বিয়ে দেন। এরপর তিনি দুধ দিয়ে গোসল করেন। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই খবর ও সেকেন্দার আলীর দুধ দিয়ে গোসলের ছবি গতকাল ০৫ জুলা্ই শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়। গ্রাম জুড়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়।
একই গ্রামের বাসিন্দা আল আমিন নামের এক যুবক বলেন, ‘স্ত্রীর সঙ্গে তার পরকীয়া প্রেমিকের বিয়ের দেয়ার ঘটনাটি গ্রামজুড়ে সকলের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। বিয়ে দেয়ার পর দুধ দিয়ে গোসল করে আরও আলোচনায় উঠেছেন স্বামী সেকেন্দার আলী। বিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে মতভেদও দেখা দিয়েছে।’
এলাকাবাসী জানায়, নেহালপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী। তার স্ত্রী ছিলেন তিন সন্তানের জননী। সেকেন্দার আলীর নিষেধ সত্ত্বেও তার স্ত্রী একই গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে মাজেদুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু মুখে তিনি সব সময় মাজেদুলের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে গেছেন। তাই বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য সেকেন্দার আলী ওঁত পাতেন এবং ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করেন।
এরপর গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সেকেন্দার আলী তার স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিক মাজেদুলের সঙ্গে বিয়ে দেন এবং পরদিন তিনি দুধ দিয়ে গোসল করেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং দুধ দিয়ে তার গোসলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সেকেন্দার আলী জানান, আগে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরে সন্তানদের কথা ভেবে স্ত্রীর ভুল ক্ষমা করেছেন। কিন্তু একই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকে। তাই গ্রামবাসীর সাহযোগিতায় আমার স্ত্রী সাগরী খাতুনের সঙ্গে গোপন প্রমিক মাজেদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুধ দিয়ে গোসলের বিষয়ে সেকেন্দার আলী বলেন, তাদের বিয়ে দিতে পেরে যেন একটি বড় পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছি। তাই দুধ দিয়ে গোসল করেছি।
স্থানীয় বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাজেদের সঙ্গে সেকেন্দারের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এরপর স্বামী সেকেন্দার হাতেনাতে ধরার পর নিজেই তার স্ত্রীকে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন বলে শুনেছি। পরে বাড়িতে এসে সেকেন্দার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন বলেও জানতে পেরেছি। সূত্র: যুগান্তর, দেশ রূপান্তর, জনকণ্ঠ।