বাঙালিনিউজ বিনোদন ডেস্ক
ঋধিমা পণ্ডিত অভিনয়ে ছোট পর্দায় দীর্ঘদিন ধরে দাপট দেখাচ্ছেন । অবশেষে এক মারাঠি ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় অভিষেকও হয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে শত চেষ্টা করেও বলিউডের খাতা খুলতে পারেননি ঋধিমা। কিছুদিন আগে মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর অভিমানের কথা প্রকাশ করেছেন।
অভিনেত্রী ঋধিমা ক্যারিয়ারের বয়স আট বছর পার হয়েছে। তিনি টেলিভিশন ধারাবাহিক ছাড়াও বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে নজর কেড়েছেন। এবার ছবির দুনিয়ায় পা রাখলেন এই অভিনেত্রী। মারাঠি ছবি ‘মহেশে ছা বদলা’র মূল নায়িকা হিসেবে দেখা গেছে তাঁকে। ছবিটির পরিচালক ছিলেন আদিত্য সারপোদার। এ ছবিটি মুক্তির আগে চরম উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছিলেন ঋধিমা। কোথাও একটা ভয় তাড়া করছিল তাঁকে।
তার এই ভয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে ঋধিমা জানান, এর আগে এক মারাঠি ছবিতে তিনি কাজ করেছেন, কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। এদিকে মারাঠি ছবির জগতে অভিষেকের পর দারুণ উৎফুল্ল এই টেলি নায়িকা। তাঁর কথায়, ‘সত্যি বলতে, আমি আর যেন অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। দর্শকের ভালোবাসায় আমি আপ্লুত।’
দীর্ঘদিন ধরে বলিউডে অভিনয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন অভিনেত্রী ঋধিমা পণ্ডিত। এ নিয়ে তিনি একটু হতাশার সুরে বলেছেন, ‘বলিউডে একটা সুযোগের আশায় অনেক ঘাম ঝরাচ্ছি। কিন্তু এখনো সুযোগ পাইনি। এটা অত্যন্ত হতাশার।
এতে আমি মোটেও নিজের তিক্ততা উগরে দিচ্ছি না। কিন্তু অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একরাশ হতাশা আমাকে ঘিরে ধরে। তখন খুব অসহায় লাগে। কিছুতেই মনের মতো কাজ পাচ্ছি না। এটা দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নয়।’
এসময় ঋধিমা আরও বলেছেন, ‘আগে আমি সকালে ঘুম থেকে উঠেই সব প্রযোজক, পরিচালক, কাস্টিং ডিরেক্টরদের একটা কাজের আশায় ফোন করতাম। শুধু মনে হতো এরপর আমি কী করব।’
এই অভিনেত্রীর আরও অভিযোগ, ‘বলিউডে কাজের অভাব নেই। এখানে প্রচুর সুযোগও আছে। কিন্তু সব সময় কিছু মানুষকেই কাজ দেওয়া হয়। এখানে নবীনদের পরখ করে দেখার অবকাশ নেই।’ ওটিটির প্রসঙ্গ টেনে ঋধিমা বলেছেন, ‘ওটিটি অসংখ্য অভিনয়শিল্পীদের সামনে দরজা খুলে দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে এখানেও চলচ্চিত্র অভিনেতারা ভিড় করছেন।’
ঋধিমা টেলিভিশনের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেছেন, ‘টেলিভিশন আমার সবচেয়ে শক্তিশালী সঙ্গী। টেলিভিশন আমার মেরুদণ্ড। আর এর মাধ্যমেই আজ আমার পরিচিতি। টেলিভিশনই আমাকে নাম ও যশ দিয়েছে। ছোট পর্দা আমাকে আর্থিক সুরক্ষা দিয়েছে। এই দুনিয়ায় নিজের মর্জিমতো যত দিন ইচ্ছা কাজ করা যায়।’
সূত্র: প্রথম আলো