বাঙালিনিউজ, বিশ্বডেস্ক
ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। এর ফলে স্যার কিয়ের স্টারমার দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। তবে ঋষি সুনাক পরাজয় মেনে নিয়ে স্টারমারকে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
নির্বাচনের ফল ঘোষণা শেষ হওয়ার পর পরই প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক রাজার কাছে গিয়ে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তারপর রাজা স্টারমারকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। ইতোমধ্যে লেবার নেতা স্যার কিয়ান স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। হলবর্ন ও সেন্ট প্যানক্রাসে জয়ের পর লেবার পার্টির নেতা স্টারমার বলেন, পরিবর্তন শুরু হয়েছে। এখন আমাদের সময় কিছু দেওয়ার জন্য।
ব্রিটেনে ক্ষমতার হস্তান্তর ঘটে গেল বেশ দ্রুততার সঙ্গে। শুক্রবার রাজা চার্লস্ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান ঋষি সুনাক। কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজার সাথে দেখা করেন কিয়ের স্টারমার। তাকে সরকার গঠন করার আমন্ত্রণ জানানো হয়। বাকিংহাম প্যালেস থেকে ফিরেই মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের মোট ৬৫০টি আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য কোনো দলকে এককভাবে পেতে হবে ৩২৬টি আসন। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, লেবার পার্টি এ পর্যন্ত ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে। ফলে লেবার পার্টি র সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বাধা নেই। নির্বাচনে বড় বিপর্যয় হয়েছে রক্ষণশীল দলের। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকা কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে মাত্র ১২১টি আসন। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৭১ আসনে জয় পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়া এসএনপি জয় পেয়েছে ৯ আসনে। ৭ আসন পেয়েছে এসএফ। ২৮টিতে জয় পেয়েছে অন্যান্যরা। ২ আসনের ফলাফল এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
২০১৯ সালের নির্বাচনে অবশ্য ৩৬৫ আসনে জয় পেয়েছিল কনজারভেটিভ পার্টি, আর লেবার পার্টি পেয়েছিল ২০২ আসন। এ ছাড়া স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮ টি আসনে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটসরা ১১ টি আসনে এবং অন্যান্যরা পেয়ছেন ২৪ টি আসন জয় পেয়েছিল।
এর ফলে ২০১০ সালের পর আবারও ডাউনিং স্ট্রীটে একজন লেবার প্রধানমন্ত্রী এলেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই হবে। কারণ, ইতোমধ্যে ঋষি সুনাক নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সূত্র: বিবিসি, অনলাইন নিউজ।