মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা সুবিধা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে: প্রধানমন্ত্রী

Spread the love

বাঙালিনিউজ, রাজনীতিডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন?

আজ ১৪ জুলাই ২০২৪, রোজ রোববার বিকেলে, চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা নিজের জীবনবাজি রেখে, সংসার ফেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি ভেঙে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মোকাবেলা করে যুদ্ধ করে এ দেশের বিজয় এনেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে- তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা পাবে না? তাদের অপরাধটা কী?

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত কিন্তু চিকিৎসার টাকা নেই। এটা হলো মুক্তিযোদ্ধাদের এখনকার অবস্থা। অথচ তাদের উদ্দেশ্য করে প্রতিনিয়ত অবমাননাকর বক্তব্য রাখা হচ্ছে। এই অবমাননা তারা সহ্য করতে পারছেন না। এই রাষ্ট্রের কিছু করণীয় আছে কি না?

শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে দিয়েছিল বলে সবাই উচ্চপদে আসীন।  মুক্তিযোদ্ধারা না থাকলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেতে হতো। এখন যারা লাফাচ্ছে তারা ১৫-২০ বছর আগের বাংলাদেশ সম্পর্কেও জানে না। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় কি ছিলো? ৫-৭ বছর সেশন জট।

সরকারপ্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে,  বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে? মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না! মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে গায়ে জ্বর আসে!

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধার নাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে কোটায়। সে এখন বলে, কোটা লাগবে না। তাকে তো ভার্সিটি থেকে বের করে দেওয়া উচিত। লজ্জা থাকলে বের হয়ে তারপর বল কোটা লাগবে না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মেধা কার কত সেটা পরীক্ষা হলে বোঝা যায়। সব কোটা যে পূরণ হয়, এমন নয়। অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা অগ্রাধিকার পাবে। কোটা আর মেধাতো এক জনিসি নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-নাতিপুতি মেধাবী না, আর রাজাকারের সন্তান-নাতিপুতি মেধাবী? প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজাকাররা পরাজিত হয়েছিলো। তাদের মেধাটা কোথায়? সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, ইত্তেফাক, প্রথম আলো।