ফেসবুক লাইভে কষ্টের কথা জানিয়ে গৃহবধূর ‘আত্মহত্যা’

Spread the love

বাঙালিনিউজ, দেশডেস্ক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে (সরাসরি সম্প্রচার) কষ্টের কথা জানিয়ে রাজশাহীতে এক গৃহবধূ ‘আত্মহত্যা’করেছেন। গতকাল ১৮ জুন মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহীর চারঘাট পৌর শহরের হলের মোড় এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

জানা গেছে, ওই গৃহবধূর নাম রহিমা আক্তার (২৪)। তার স্বামীর নাম সায়েম ইসলাম ওরফে সাগর। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তাঁরা পুঠিয়া উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। চারঘাট পৌর এলাকার ওই বাসায় তাঁরা ভাড়া থাকতেন। ‘আত্মহত্যা’কারার সময় রহিমা বাড়িতে একাই ছিলেন।

ঈদের দিন বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলেন রহিমা। ভালো লাগছিল না বলে স্বামী-সন্তানকে রেখে তিনি একাই ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন এবং ভোররাতে ‘আত্মহত্যা’ করেন।

চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি মিডিয়াকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রহিমা আক্তারের বাবার সঙ্গে তাঁর মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বাবা আরেকটি বিয়ে করেন। এতে রহিমা আক্তার একা হয়ে পড়েছিলেন। এ নিয়ে তিনি বিষণ্নতায় ভুগছিলেন। আগেও বেশ কয়েকবার  রহিমা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

ওসি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে ফেসবুক লাইভে আসেন ওই গৃহবধূ। এ সময় তিনি তাঁর দুঃখের কথাগুলো বলেন। মা–বাবাকে নিয়ে অনেক কথা বলেছেন।

স্বামীর উদ্দেশে বলেন, ‘তুমি সন্তানের বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করবে। আমি তোমাদের দুজনকে খুব ভালোবাসি। তোমার যখন চাকরি ছিল না, বেকার ছিলে, তখন আমি তোমাকে ছেড়ে যাইনি। এখন তোমার চাকরি হয়েছে। যে নতুন জীবনসঙ্গী হবে তাঁকে সময় দিয়ো।’

লাইভ শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে রহিমা আত্মহত্যা করেন। পরে সকালে পুলিশ পাঠিয়ে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁর পরিবারের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো।