বাঙালিনিউজ, বিশ্বডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। তিনি দলের মনোনীত প্রার্থী। তাঁকে কেউ বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি নিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কোথাও সরে যাচ্ছেন না।
স্থানীয় সময় ০৩ জুলাই ২০২৪, রোজ বুধবার, ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনী প্রচারে নিয়োজিত কিছু কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এক ফোনকলে বাইডেন এ কথা বলেন। তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যক্তিদের বাইডেন ওই ফোনকলে যুক্ত করেছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর, আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমশ বাড়ছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে আছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতেই বাইডেনের এই ফোনকল।
সূত্রগুলো জানায়, বাইডেনের দাবি, ‘আমিই নির্বাচনে লড়ছি।’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌড় থেকে কেউ তাঁকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
দলের অভ্যন্তরীণ এমন চাপের মুখে বাইডেন পদত্যাগ করতে পারেন—এমন একটি আলোচনা চাউর হয়েছিল। তবে বুধবার এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন-পিয়ের। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাইডেন পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না? জবাবে কারিন বলেন, ‘অবশ্যই না।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এই বিতর্কে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী (৮১ বছর) প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। ট্রাম্পের বাক্যবাণে প্রথম দিকে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
এরপরই ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই মনে করছেন, দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জো বাইডেনের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত হবে না। তাঁদের মধ্যে দলের অনেক দাতার পাশাপাশি কংগ্রেস সদস্যরাও রয়েছেন। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের ডেমোক্রেটিক পার্টির এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর দলের ২৫ জন কংগ্রেস সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। রয়টার্স/ইপসসের জরিপের ফল বলছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি তিনজনের একজন মনে করেন, বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসা উচিত। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি