যাত্রীদের খুঁজে বের করতে সরকারের সব সংস্থাকে নির্দেশ
বাঙালিনিউজ, বিশ্বডেস্ক
আজ ১২ জুলাই ২০২৪, রোজ শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে, নেপালের মদন-আশ্রিত মহাসড়ক থেকে দুটি যাত্রীবাহী বাস নদীতে পড়েছে। ফলে অন্তত ৬৩ জন বাসযাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, বন্যায় ভয়াবহ ভূমিধসের কারণে যাত্রীবাহী দুটি বাস সড়ক থেকে ছিটকে ত্রিশূলি নদীতে পড়ে ভেসে গেছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, চিতওয়ানের চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার ইন্দ্রদেব যাদব টেলিফোনে বলেছেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বাস দু’টিতে চালকসহ মোট ৬৩ জন যাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভূমিধসের কারণে রাস্তা ভেঙে বাসগুলো নদীতে পড়ে ভেসে যায়। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি এবং তল্লাশি অভিযান চলছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে নিখোঁজ বাসের সন্ধানে আমাদের অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।”
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিধসের কারণে রাস্তা থেকে চলমান যাত্রীবাহী বাস দুটি ছিটকে পড়ে। বাস দু’টির একটি অ্যাঞ্জেল বাস যাচ্ছিল কাঠমান্ডুর দিকে। অপর বাস গণপতি ডিলাক্স যাচ্ছিল কাঠমান্ডু থেকে রাউতাহাটের গৌড়ের দিকে।
পুলিশ সুপার ভবেশ রিমাল জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। নারায়ণড়-মুগলিন সড়কের বিভিন্ন অংশে ভূমিধসের কারণে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল এক্স পোস্টে বলেন, “নারায়ণগড়-মুগলিন সড়কে ভূমিধসের পর বাস ভেসে গিয়ে পাঁচ ডজন যাত্রী নিখোঁজ হওয়ার খবরে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। বন্যা ও ভূমিধসে দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাত্রীদের খুঁজে বের করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সব সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি।”
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে কাঠমান্ডু থেকে চিতওয়ানের ভরতপুরগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস