বাঙালিনিউজ বিনোদন ডেস্ক
কমান্ডো সিরিজে এবং এর পরে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন বলিউড অভিনেতা বিদ্যুৎ জামওয়াল। গত কয়েক বছরে ‘খুদা হাফিজ’, ‘খুদা হাফিজ ২’ ছবিতেও অ্যাকশন হিরো অবতারে দেখা গেছে বলিউডের কমান্ডোকে। যদিও কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আইবি ৭১’ ছবিতে একজন ইন্টেলিজেন্সের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা।
এবার অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘরানার ছবিতে নজর কাড়ার জন্য প্রস্তুত অভিনেতা বিদ্যুৎ জামওয়াল। পরিচালক আদিত্য দত্তের নতুন স্পোর্টস অ্যাকশন সিনেমা ‘ক্র্যাক’-এ অন্যতম এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিতে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন বলিউডের ড্যান্সিং ডিভা নোরা ফাতেহি। পাশাপাশি অভিনয় করেছেন অর্জুন রামপাল ও অ্যামি জ্যাকসন।
এ সিনেমায় বিদ্যুৎ শুধু অভিনয়ই করেননি, সিনেমাটির সহপ্রযোজনাও করেছেন। সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক আদিত্যই। যার শুরু থেকে শেষ অবধি চমক। নায়ক মুম্বাইরবস্তির বাসিন্দা। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে কীভাবে সে এক্সট্রিম স্পোর্টসের দুনিয়ায় প্রবেশ করে– তা নিয়েই গল্প এগোয়। ছবির প্রকাশ হওয়া ট্রেইলারে বিদ্যুৎ,অর্জুনকে বিপজ্জনক স্টান্ট এবং অ্যাকশন সিকোয়েন্স করতে দেখা যায়। অভিনেতা ও প্রযোজক বিদ্যুৎ বলেন, ‘সময় বদলেছে। দর্শকের রুচিও। এখন আর কোথাও কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। মালভূমি ছাপিয়ে পর্বতপ্রমাণ হতে হবে।’
পরিচালক আদিত্য দত্ত বলেন, ‘‘ক্র্যাক’ এমন এক স্ক্রিপ্ট, যা নিয়ে আমি গত চার বছর কাজ করেছি। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য এমন এক গল্প বলেছি, যেখানে স্পোর্টস, গেমিংয়ের মতো খেলার জগৎ অ্যাকশন,নাটকীয়তা এবং রোমাঞ্চে মিশে গিয়েছে।”
সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘ক্র্যাক’-এর ট্রেইলার। আর এই ছবিতে রয়েছে একাধিক অ্যাকশন দৃশ্য। অভিনেতা অর্জুন রামপালের কাছে সিনেমার স্টান্ট কোনো ব্যাপারই নয়, এমনটাই জানেন সবাই। তবে ‘ক্র্যাক’ ছবিতে কাজের সময় স্টান্ট করাই নাকি সবচেয়ে মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল অর্জুনের কাছে। কিন্তু কেন? ‘ক্র্যাক’-এর ট্রেইলার লঞ্চ ইভেন্টে অর্জুন রামপাল বলেন, ‘ছবিটি যেমন আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে, তেমনই ভয়ও পাইয়ে দিয়েছে। ছবির শুটিংয়ে আমি স্লিপড ডিস্কের শিকার হয়েছিলাম এবং একেবারেই বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ি। আমাকে হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল।’
‘ক্র্যাক’-এর শুটিংয়ে চোট পেয়েছিলেন নোরাও। শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অর্জুন স্যার স্টান্ট করছিলেন, বিদ্যুৎ স্যারও স্টান্ট করছিলেন, তাই আমিও ডবল ছাড়াই স্টান্ট করতে চেয়েছিলাম। বিদ্যুতের সঙ্গে একটি দৃশ্যে আমরা দু’জনেই দ্রুত যাচ্ছিলাম। দু’জনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওঁর কোমরে দড়ি বাঁধা ছিল আর আমিও ওঁর পেছনে ছিলাম। তাই আমি কখন পড়েছিলাম, তিনি জানতেনই না। তিনিই আমাকে টেনে নিয়ে গেলেন, তাও কংক্রিটের রাস্তা বরাবর…!’
এ ছবিতে একটি গানে দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রকেও। তিনি বলেন, ‘প্রথমবার গণেশ আচার্যের কোরিওগ্রাফিতে কাজ করে দারুণ অভিজ্ঞতা হলো। দেখে মনে হয় হুক স্টেপটা খুব কঠিন, কিন্তু আসলে গণেশের টার্গেট থাকে গানের আসল স্টেপগুলো, যাতে আট থেকে আশি সবাই পা মেলাতে পারেন। তাই একেবারে সহজ স্টেপ দেন তিনি। এগানেও সব রাজ্যের সংস্কৃতির মেলবন্ধন দেখানো হয়েছে। বাংলা থেকে আমি ছিলাম, সেটি আমার খুব ভালো লেগেছে।’
সূত্র: সমকাল