দা দিয়ে কুপিয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগ, বাবা পলাতক

Spread the love

বাঙালিনিউজ, দেশডেস্ক

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গাছের কাঁঠাল কাটাকে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় নিজের মেয়ে স্মৃতি আক্তারকে (২৬) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবা সারফুদ্দিন খানের (৫৫) বিরুদ্ধে। আজ ১১ জুলাই ২০২৪, রোজ বৃহস্পতিবার সকালে কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শারফুদ্দিন খান (৫৫) পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শারফুদ্দিন খান তার প্রথম স্ত্রী সালমা আক্তারের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়া বাগানের গাছ থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাঁঠাল কাটতে গেলে মেয়ে স্মৃতি আক্তার বাধা দেন। এ সময় স্মৃতি বলেন, যেহেতু তার মাকে তিনি ডিভোর্স দিয়েছেন এবং মায়ের দেওয়া পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই বাগানের জমি লিখে দিয়েছেন, তাই এ জমি থেকে পিতাকে কাঁঠাল কাটতে দিবেন না।

এ সময় বাবা ও মেয়ের মধ্যে কাটাকাটির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে শারফুদ্দিন তার হাতে থাকা দা দিয়ে স্মৃতি আক্তারকে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এ সময় স্মৃতি আক্তারের একটি হাত ও গলা কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত স্মৃতি আক্তার অভিযুক্ত শারফুদ্দিন খানের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে। কয়েক বছর আগে স্মৃতির মা সালমা আক্তারকে তালাক দেন শারফুদ্দিন খান। অভিযুক্ত শারফুদ্দিন খানের চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তারা মায়ের জমিতে ঘর করে বসবাস করছে। শারফুদ্দিন পরবর্তী সময়ে আরো চারটি বিয়ে করেছেন এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বসবাস করেন। গত কয়েক দিন আগে তিনি তার ভাই মো: রেফাজউদ্দিনের বাড়িতে উঠেন।

উল্লেখ্য, নিহত স্মৃতি আক্তারের সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলার দুবুরিয়া গ্রামের প্রবাসী সাইফুল মোড়লের ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। গত ঈদুল আজহায় তিনি মায়ের কাছে বেড়াতে আসেন।

কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, নিহত স্মৃতি আক্তারের বাবা শারফুদ্দিন তার মাকে পাঁচ বছর আগে তালাক দেন। নিহতের বাবা একাধিক বিবাহ করার কারণে তাদের মধ্যে পরিবারিক কলহ রয়েছে। নিহত স্মৃতির গলা, চোয়ালে ও ডান হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সারফুদ্দিন খান গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ বিষেয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।