কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের

Spread the love

বাঙালিনিউজ, রাজনীতিডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও  কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই হোপ সো অ্যান্ড আই বিলিভ সো।’

আজ ০৭ জুলাই ২০২৪, রোজ রোববার, সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছে। এখন আলতের ব্যপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে। এই বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যপার, তাই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

শিক্ষকদের সাথে দ্রুত বসবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, বসাবসি টাতো বিষয় না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসি টা কখন হবে- সেটা বলতে পারছিনা। তবে সময় মত সমাধান হয়ে যাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়- সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা, শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টেজ, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্রাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে।

সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাচপুুর সেতুতে ১১শ কোটি টাকা সাশ্রয়  হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে ১৮৩৫ কোটি টাকা।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রত্যেক তিন মাস পরপরই আমরা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেতর দিতে পারবো। সূত্র: বাসস।