বাঙালিনিউজ, দেশডেস্ক
আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ রোজ রবিবার থেকে সারাদেশে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। দু’দিন টানা শৈত্যপ্রবাহের পর, ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার থেকেই আবার তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ফোরকাস্টিং কর্মকর্তা এ কে এম নাজমুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রবিবার থেকে দেশের উত্তরবঙ্গের রাজশাহী ও রংপুর এলাকা দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে। এতে অনেক এলাকায় এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে।’
নাজমুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আবার বাড়তে শুরু করবে। তবে সকালের দিকে কুয়াশার তীব্রতা থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাবে।’
গতকাল ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীর বাদলগাছিতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ২৫ জানুয়ারি শনিবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, আগামীকাল রোববার থেকে দুই দিনের শৈত্যপ্রবাহের পর এ মাসে আর শৈত্যপ্রবাহ হবে না। এতে ডিসেম্বর মাসে যেমন তাপমাত্রা বেশি কমেনি তেমনিভাবে জানুয়ারি দেশের শীতলতম মাস হলেও সেই হারে তাপমাত্রা কমবে না। আর এবার কুয়াশার ঘনত্বও এত বেশি ছিল না।
চলতি মাসের আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই লঘুচাপ থেকে একটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) থেকে তীব্র (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ২ থেকে ৩টি মৃদু (১০ থেকে ৮ ডিগ্রি) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার পরিস্থিতি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মাসের শুরুতে একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহের দেখা পাওয়া গেলেও দেশ জুড়ে শীতের তীব্রতা দেখা যায়নি।
এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি। প্রতিদিনই জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। অনেকেই আবার হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতে সুরক্ষায় থাকতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।