এবার ট্রাম্পের দলের কর্মসূচিস্থলে ছুরিকাঘাতকারী কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা

Spread the love

বাঙালিনিউজ, বিশ্বডেস্ক

গতকাল ১৬ জুলাই ২০২৪, রোজ মঙ্গলবার, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের কর্মসূচিস্থলে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতকারী কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করেছে নিরাপত্তা পুলিশ।

জানা গেছে, দু’হাতে দু’টি ছুরি নিয়ে এক কৃষ্ণাঙ্গ ঘোরাফেরা করছিলেন আমেরিকায় রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থলের ঘেরাটোপের বাইরে। আচমকা সামনে এগিয়ে আসা এক ব্যক্তির উপর হামলা করেন তিনি। এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশবাহিনী বিষয়টি খেয়াল করার পর, দ্রুত ছুটে গিয়ে ওই হামলা রুখতে পর পর গুলি চালায় সন্দেহভাজন ওই কৃষ্ণাঙ্গকে লক্ষ্য করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সন্দেভাজন ব্যক্তির।

গত ১৩ জুলাই ২০২৪ রোজ শনিবার আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিলেন এক বন্দুকধারী যুবক। তার রেশ কাটতে না কাটতেই, মাত্র দুদিন পর গতকাল ১৬ জুলাই মঙ্গলবার তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির অনুষ্ঠানস্থলের সামনে এক সশস্ত্র ছুরিকাঘাতকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে নিরাপত্তা পুলিশবাহিনী।

পর পর এমন হামলার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে মার্কিন সরকার ও রাজনীতিকদের। এই ঘটনা উদ্বেগজনক হলেও, ট্রাম্পের ‘রাজনৈতিক ফয়দা’হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। প্রথমে ট্রাম্প নিজে ঘাতকের নিশানা হয়েছেন। তার পরে তাঁর দলের কর্মসূচির জায়গায় জোড়া ছুরি হাতে আক্রমণকারী সন্দেহভাজন এক কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। প্রতিটি ঘটনাই ভোটের বাজারে ট্রাম্পের ‘রাজনৈতিক ফয়দা’করে দিচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ওই কৃষ্ণাঙ্গ একজন ভবঘুরে। নাম স্যাম্যুয়েল শার্প। বয়স ৪৩ বছর। তাঁর আত্মীয়েরাই মৃতদেহ দেখে শনাক্ত করেছেন তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে দু’টি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্যাম্যুয়েল কী উদ্দেশ্য নিয়ে রিপাবলিকান পার্টির রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বাইরে ছুরি হাতে ঘোরাফেরা করছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি।

গত ১৫ জুলাই ২০২৪ রোজ সোমবার থেকে আমেরিকার উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে শুরু হয়েছে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলন। গতকাল ১৬ জুলাই মঙ্গলবারও সেই কর্মসূচি চলছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রিপাবলিকান পার্টির বহু নেতা-নেত্রীরই।

মিলওয়াউকির পুলিশ প্রধান জেফ্রি নরম্যান জানিয়েছেন, ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনার কথা মাথায় রেখেই ওই সম্মেলনের নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা ছিল। কর্মসূচিস্থলের বাইরে মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী। এ সময় তারা স্যাম্যুয়েলের সঙ্গে এক ব্যক্তির বচসা হতে দেখে এগিয়ে যায়। স্যাম্যুয়েলকে হুমকি দিতেও দেখে।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা প্রথমে স্যাম্যুয়েলকে অস্ত্র ফেলে দিতে বলে। কিন্তু তিনি সেই নির্দেশ না মেনে ছুরি হাতে চড়াও হন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির উপর। তাঁর প্রাণ বাঁচাতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।

তবে স্যাম্যুয়েলের আত্মীয়দের দাবি, ‘‘পুলিশ আমাদের এলাকায় এসে আমাদের লোককে গুলি করে হত্যা করে চলে গেল! পুলিশের কাজ কি এখন লোককে গুলি করে বেড়ানো?’’ ওই এলাকায় তাঁবু গেড়ে বহু ভবঘুরেই বসবাস করেন। গতকাল মঙ্গলবারের এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা একজোট হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।