বাঙালিনিউজ খেলারডেস্ক
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফের শুরু হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ আট বছর পর পাকিস্তান এই উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৫ সালে অনুষ্ঠেয় এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এই লড়াইয়ের জন্য আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে সেরা আটে থাকা দলগুলো অংশ নেয় মর্যাদার এই আসরে। দুই গ্রুপে ওই আটটি দলকে মনোনীত করা হয়েছে।
আয়োজক পাকিস্তানের প্রস্তাবিত সূচিতে ‘এ’গ্রুপে রাখা হয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে। ‘বি’গ্রুপে রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানকে। ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাউয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশ পড়েছে কঠিন গ্রুপে।
গতকাল ৩ জুলাই ২০২৪ রোজ বুধবার, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছে টুর্নামেন্টের প্রাথমিক সূচি পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। প্রস্তাবিত সূচিতে পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ১৫টি ম্যাচ। পিসিবির প্রস্তাবিত খসড়ায় ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। গ্রুপের চতুর্থ দল হিসেবে এশিয়ার এই তিন দেশের সঙ্গে থাকছে নিউজিল্যান্ড।
ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত সূচি আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে পিসিবি। পাকিস্তান চায় ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চের মধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের সময় বার্বাডোজে গিয়েছিলেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। সেখানে আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সূচি জমা দেন।
এই বিষয়ে আইসিসি বোর্ডের এক সদস্য জানান, ভারতের সব ম্যাচ একটি ভেন্যুতে (লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম) আয়োজনের পরিকল্পনা পিসিবির, ‘পিসিবি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ১৫ ম্যাচের খসড়া সূচি জমা দিয়েছে। লাহোরে ৭টি, করাচিতে ৩টি এবং রাওয়ালপিন্ডিতে ৫টি ম্যাচ হবে। উদ্বোধনী ম্যাচ ও একটি সেমিফাইনাল হবে করাচিতে, অন্য সেমিফাইনাল রাওয়ালপিন্ডিতে। আর ভারতের সব ম্যাচসহ ফাইনাল হবে লাহোরে।’ভারত যদি সেমিফাইনালে ওঠে, তাহলে সেই ম্যাচও হবে লাহোরে।
লাহোরে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ রাখা হয়েছে ১ মার্চ। খসড়া সূচি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর কাছেও উত্থাপন করার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি আইসিসির হেড অব ইভেন্টস ক্রিস টেটলি ইসলামাবাদে গিয়ে পিসিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে ভেন্যু পরিদর্শনের পাশাপাশি আইসিসি নিরাপত্তা দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে।
পাকিস্তানের আয়োজন করা সর্বশেষ বড় টুর্নামেন্ট ছিল ২০২৩ এশিয়া কাপ। তবে ভারত সেখানে যেতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বেশির ভাগ ম্যাচ হয় শ্রীলঙ্কায়। এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সব সময়ই বলে আসছে, সরকারের অনুমতি ছাড়া তারা কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন/ এনটিভি অনলাইন।